ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইতালির একটি শহরে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২৩

ইতালির একটি শহরে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা!
ইতালির মোনফ্যালকন শহরের মেয়র অ্যানা মারিয়া সিসিন্ত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধে নেমে পড়েছেন ইতালির ৩০ হাজার বাসিন্দার শহর মোনফ্যালকনের মেয়র অ্যানা মারিয়া সিসিন্ত। মোনফ্যালকন অন্য যে কোনো নগরীর চেয়ে অনন্য। কেননা শহরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী বিদেশি। যাদের মধ্যে অধিকাংশই আবার বাংলাদেশি মুসলিম।

বাংলাদেশিরা নব্বইয়ের দশকে বড় বড় প্রমোদতরী বানানোর জন্য এই মোনফ্যালকন শহরে পাড়ি দেন। তবে মোনফ্যালকনের সাংস্কৃতিক নির্যাস হুমকির মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছেন শহরটির নারী মেয়র অ্যানা মারিয়া সিসিন্ত।

অভিবাসনবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন চরম ডানপন্থি লিগ পার্টির এই নেত্রী। এখন তিনি নেমেছেন নতুন মিশনে। ‘শহর সুরক্ষা’ নামের এই মিশনের আওতায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে খ্রিস্টান মূল্যবোধকে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র অ্যানা মারিয়া।

ইতালীয় নাগরিকরা যেখানে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী- পোশাকও পরেন তেমন, সেখানে বাংলাদেশি নারীদের দেখা যায় সেলোয়ার, কামিজ আর হিজাবে। শহরটিতে আরও রয়েছে বাংলাদেশিদের হালাল দোকান ও রেস্টুরেন্ট। এসবই দৃষ্টিকটু, চক্ষুশূল মেয়রের কাছে। শহরের যে অংশে অধিকাংশ বাংলাদেশি বসতেন, সেখান থেকে বেঞ্চগুলো সরিয়ে ফেলেছেন অ্যানা মারিয়ার প্রশাসন। সমুদ্রের তীরে মুসলিম নারীরা যে পোশাক পরেন, তার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন তিনি। শহরের দুটি ইসলামিক সেন্টারে জামাতে নামাজ আদায় নিষিদ্ধের পর মোনফ্যালকনে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

ইতালির আইনে যে কটি ধর্মের কথা বলা হয়েছে, তাতে ইসলামের কোনো উল্লেখ নেই। আর সে সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন অ্যানা মারিয়া। তবে মোনফ্যালকনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বলছেন, মেয়রের এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় মুসলিমদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

ইতালিতে বিদেশিদের আনাগোনা কমানোর কথা বলেছেন এই মেয়র। যদিও দেশটিতে অ-ইউরোপীয় কর্মীদের পারমিট বাড়ানো হয়েছে। ইতালি, ইউরোপের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশগুলোর মধ্যে একটি। গেল বছর সেখানে মাত্র ৩ লাখ ৭৯ হাজার শিশু জন্মেছে। শ্রমিকের সংখ্যাও কম দেশটিতে। ধারণা করা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ ইতালিতে প্রতি বছর ২ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। তা সত্ত্বেও অভিবাসনবিরোধী মনোভাব প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত